[ad_1]
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় জামাতার লাঠির আঘাতে রশিদা বেগম (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের ওষখাইন পূর্বপাড়া গ্রামে বাদশা মিয়ার স্ত্রী। মেয়ের জামাতা হেলাল উদ্দিন মানিক (২৪) একই গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে।
রবিবার (৯ মার্চ) সকাল ৬টায় উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের ওষখাইন পূর্বপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে স্ত্রীর দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। সকালে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার পর স্ত্রী কর্মস্থল কেইপিজেডে চলে যায়। এরপর শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া লাগে মেয়ের জামাইয়ের। এ সময় মেয়ের জামাই কাঠের লাঠি দিয়ে শাশুড়িকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই শাশুড়ির মৃত্যু হয়। ঘটনার পর মেয়ের জামাই হেলাল পলাতক রয়েছে বলেও জানান স্থানীয়রা।
হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী নার্গিস আক্তার বলেন, ‘দুই বছর আগে হেলালের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমাদের সংসারে একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। আমার স্বামী জুয়া এবং মাদকে আসক্ত ছিল। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারের কারণে আমি বাবার বাড়ি চলে আসি। বর্তমানে আমি কেইপিজেডের একটি কারখানায় কাজ করছি। ভোরে হেলাল আমার বাড়িতে এসে ঝগড়া করে। আমার চাকরির সময় হওয়ায় আমি কর্মস্থলে চলে যায়। এরপর আমার মায়ের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে আমার মাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই আমার মায়ের মৃত্যু হয়।’
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধের কারণে মেয়ের জামাতার কাঠের লাঠির আঘাতে শাশুড়ির মৃত্যু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাতক হেলাল পলাতক আছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
[ad_2]
post ads
Sheared Hosting